প্রকাশিত: Sat, Jun 3, 2023 4:43 PM
আপডেট: Fri, May 9, 2025 4:46 PM

ফলন বিপর্যয় হলেও দামে খুশি চাষিরা

ঈশ্বরদীতে ৫শ’ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

রিয়াদ ইসলাম, ইশ্বরদী, পাবনা: প্রকৃতির বৈরী আচরণে চলতি বছর লিচুর ফলন কম হওয়ায় খানিকটা আক্ষেপ ছিল চাষিদের। কিন্তু বাজারে ওঠানোর পর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি লিচু চাষি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশি প্রজাতির লিচু বাজারে এসেছে সপ্তাহ দুয়েক আগেই। এখন চলছে উন্নত বোম্বে ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু ভাঙার সময়।

বর্তমানে উপজেলার ছলিমপুর, দাশুড়িয়া, সাহাপুর, পাকশী ও লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে লিচুর আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে ছলিমপুর ও সাহাপুর ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে লিচুগাছ ও বাগান।

লিচু চাষিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার লিচুর উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় লিচু ভাঙার শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা ঈশ্বরদীর মোকামগুলোতে আগেভাগেই ভিড় জমিয়েছেন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে লিচু সংগ্রহের জন্য ঈশ্বরদীতে আসা মিলন হোসেন জানান, এ বছর প্রতি হাজার লিচু বাগান থেকেই আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে তাকে। এর পাশাপাশি শ্রমিকের খরচ, হাটের খরচ ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে ঢাকার পাইকারি বাজারে লিচু পৌঁছাতে প্রতি হাজার লিচুতে খরচ পড়ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ফলে ঢাকার বাজারে ৪ হাজার টাকার নিচে ভালো লিচু পাওয়া যাচ্ছে না।

এর আগের বছর একই লিচু বাগান থেকে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে কিনেছিলেন বলে জানান মিলন।

চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈশ্বরদীতে সাধারণত তিন জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়। এগুলো হলো মোজাফ্ফর বা দেশি লিচু, বোম্বাই ও চায়না-৩। এ ছাড়া কদমী, কাঁঠালী, বেদানা, চায়না-১ ও চায়না-২ জাতের লিচু চাষ হয় এখানে। সবার আগে বাজারে আসে মোজাফ্ফর বা দেশি লিচু। বোম্বাই ও চায়না-৩ লিচু কিছুদিন পরে পাকলেও বাজারে এর কদর বেশি। বিক্রিও হয় বেশি দামে। চায়না লিচু দেশি লিচুর মতো দেখতে হলেও আকারে ছোট হয়। খেতে সুস্বাদু।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকারের ধারণা, এ বছর ঈশ্বরদীতে ৫০০ থেকে ৫৫০ কোটি টাকার লিচুর ব্যবসা হবে। তিনি  বলেন, এ বছর ঈশ্বরদী উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে, যা থেকে প্রায় ৩৩ হাজার ৫০০ টন লিচু পাওয়া যেতে পারে। এ বছর ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ গাছে লিচুর ফলন এসেছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান